সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩

বিল গেটস'র বই পড়া


ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন তাকে চেনেন না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কঠিন। গুগল তাকে American Business Magnate বলে পরিচয় করিয়ে দেয়। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৯ বছর পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছিলেন (২০১০-২০১৩ ছাড়া)। তিনি মাইক্রোসফটেরও প্রতিষ্ঠাতা। চাইলে তিনি আজও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকায় প্রথম থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি এত বেশি পরিমাণ দান করেন যা একজন মানুষ কল্পনাও করতে পারবেন না। ২০২২ সালেও তিনি আমেরিকার স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ৫ মিলিয়ন ডলার (!!!) দান করেছেন।

এবার মূল প্রসঙ্গে আসি। মাত্র দুদিন আগে এই মহান ব্যক্তি তার ফেসবুক ওয়ালে নিচের ছবিগুলো পোস্ট করেছেন। প্রথম ছবিতে একটি ব্যাগ দেখা যাচ্ছে। তিনি সেখানে বলেছেন, "বলুন তো আমার ব্যাগের মধ্যে কি আছে? প্রচুর পরিমাণ বই। আমি পড়তে ভালোবাসি যেকোন সময়, যেকোন স্থানে।"
এমন একজন বিখ্যাত/সফল/ধনী/মহান ব্যক্তি কি পরিমাণ বই পড়েন তা তার এই পোস্ট থেকে বোঝা যায়।
এবার কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে নিজের এবং চারপাশের অবস্থা কল্পনা করুন। আমরা কতটা বই পড়ি কিংবা বইপড়া সম্পর্কে আমরা কতটা ইতিবাচক!!!
গত সপ্তাহে আমি আমার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তারা বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যয়কে চেনে কিনা। ২৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২/১ জন এই নামটি শুনে থাকলেও স্বীকার করলো তার কোন রচনার সাথে তাদের পরিচয় নেই। তারা সত্যজিৎ রায়কে চেনে না, কোনদিন 'পথের পাঁচালী'র নাম শোনেনী, অস্কতার পুরস্কার সম্পর্কেও জানে না। এমনি কি হুমায়ুন আহমেদের নাম শুনলেও তার কোন রচনার নাম বলতে পারল না। এই ব্যর্থতা কি আমাদের নয়?
আমি ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সময়ে চেষ্টা করি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ তৈরি করার। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি, অনেক বড় শিক্ষকও মনে করেন বই পড়া মানেই সময়ের অপচয়। (বই পড়া বলতে আমি অবশ্যই একাডেমিক বইয়ের কথা বলিনি)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন