বুধবার, ২৮ জুন, ২০২৩

ট্রেনেযাত্রী বৃদ্ধ ও ১২ জন যুবক


এক বৃদ্ধ ট্রেনে উঠেছে। ঐ বগিতে বৃদ্ধ একাই ছিলেন। এরপর ১২ জন যুবক চলন্ত ট্রেনের ঐ বগিতে উঠেই চিৎকার করে গান গাওয়া শুরু করল। তারা ছুরি দিয়ে আম কেটে কেটে খাচ্ছিলো । 

হঠাৎ একজন বলে উঠলোঃ "চল আমরা ট্রেনের চেইনটা টেনে ট্রেনটাকে থামিয়ে দেই।" 

দ্বিতীয়জন বলল, “না দোস্ত, লেখা আছে পাঁচ শত টাকা জরিমানা অন্যথায় ছয় মাস জেল।" 

১ম যুবক আবার বলল, "আমরা একশো টাকা করে চাঁদা তুলি। বারোশো টাকা হবে বাকী সাত শো টাকা দিয়ে লাঞ্চ করবো। Let's fun friends" (বারোশো টাকা তুলে ১ম যুবকের পকেটে রাখলো)। 

তারপর ৩য় যুবক বলল, "দোস্ত, আমরা চেইন টেনে ঐ বুইড়াটাকে দেখিয়ে দিলে পাঁচ শো টাকাও বাঁচলো আরো বেশি Fun হলো। আমরা ১২ জনে সাক্ষী দিলে টিটি মেনে যাবে।" 

বৃদ্ধ কাঁদতে কাঁদতে হাত জোড় করে বললোঃ "বাবা, তোমরা আমার ছেলের বয়সী। কেনো আমাকে বিপদের মধ্যে ফেলবে?" 

যুবকগুলো বৃদ্ধের অনুরোধ অবজ্ঞা করে চেইনটা টান দিতেই টিটি চলে এসে জিজ্ঞাসা করলোঃ "কে চেইন টেনেছে?" 

যুবকগুলো বৃদ্ধকে দেখিয়ে বললোঃ "ঐ চাচা মিয়া টেনেছে।" 

টিটি বৃদ্ধকে বললোঃ "অকারণে চেইন টানলে পাঁচ শত টাকা জরিমানা অথবা ছয় মাস জেল।" 

যুবকগুলো চিৎকার করে বললোঃ "স্যার, বুইড়া অকারনেই টেনেছে। হো হো হো হো........." 

বৃদ্ধ একটু দাঁড়িয়ে বললোঃ "টিটি সাহেব আমি বিপদে পড়েই চেইন টেনেছি।" 

টিটি বললোঃ "কি বিপদ?" 

বৃদ্ধ বললোঃ "ঐ যুবকগুলো আমার গলায় ছুরি ধরে আমার বারো শো টাকা ছিনতাই করেছে।" 

টিটি বললোঃ "কি সর্বনাশ?" 

বৃদ্ধ বললোঃ "দেখুন ঐ যুবকটির পকেটে টাকা আর ঐ ব্যাগে ছুরি।" 

টিটি পুলিশ কল করে ১২জন যুবককে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছিলো। তখন বৃদ্ধ তার পাকা চুল/দাড়ি দেখিয়ে যুবকগুলোকে বললোঃ "এইগুলো বাতাসে পাকে নাই"

(ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)

সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩

মাননীয় শঙ্কর দয়াল শর্মা ও ওমানের সুলতান

 


একজন মহান শিক্ষকের প্রতি একজন মহান ছাত্রের সম্মান প্রদর্শন। 

১৯৯৪ সালে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মাননীয় শঙ্কর দয়াল শর্মা তাঁর বিদেশ যাত্রায় ওমানে গিয়েছিলেন। সেইদিন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান যখন বিমানবন্দরে অবতরণ করল তখন তিনটে অত্যন্ত চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছিল।

রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩

কিনু গোয়ালার গলি-সন্তোষ কুমার ঘোষ

 


যেন নাম থেকেই আন্দাজ করা যায় কেমন হতে পারে কিনু গোয়ালার গলি। বোবা বোবা চেহারার বাড়ি। ছোট ছোট ফোকরচোখ জানালা আর চুন খসা খিলানের হাঁ। আলো যেখানে পালাই পালাই করে, দেয়ালে মাঝে মাঝে স্যাঁতা পড়া দাগ। হারিয়ে যাওয়া অতীতের কথা স্মরণ করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়া নিতান্ত অসহায়ের মত এই গলির মানুষগুলোরও একেকতা অতীত রয়েছে। যেমন রয়েছে নীলাদেরও। একসময়ে প্রাচুর্য্যে ভরা ছিল তাদেরও জীবন। ক্রমে ক্রমে দারিদ্রতার চরম কষাঘাতে জর্জরিত হতে হতে আজ এই গলিতে ঠাই হয়েছে তাদের। 

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩

বাড়ি থেকে পালিয়ে- শিবরাম চক্রবর্তী

 


আমার বই ডট কমে একটা তালিকায় বইটা পেয়ে পড়া শুরু করেছিলাম। যদিও শিবরাম চক্রবর্তীর এই বইটির নাম আগেও শুনেছিলাম। কাঞ্চন নামে এক কিশোর তাদের পুরুতের সমবয়সী ছেলে বিনোদের সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সে বিনোদের দইয়ের ভাড় কেড়ে নিয়ে তার মাথায় ঢেলে দেয় এবং ক্ষীরের বাটি কেড়ে নেয়। ফলাফল, কিছুক্ষণ বাদেই বাড়ির চাকর এসে খবর দেয় বাবা তার জন্য চাবুক হাতে অপেক্ষা করছে। 

সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩

দায়বন্ধন, সমারেশ মজুমদার

 


ইংরেজিতে এমএ শেষ করেও কোন চাকরী যোগাড় করতে পারিনী জয়দীপ। কোলকাতায় কোথাও থাকার জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে পরিচিত একজনের অফিসে চুরি করে রাতে বেলায় ঢুকে রাত্রিযাপন করে সে। আপতদৃষ্টিতে বৈচিত্রহীন এবং অনিশ্চিত এক জীবন কাটানো এই জয়দীপের জীবনে হঠাৎ করেই দু’জন নারীর আবির্ভাব ঘটে। কেমন যেন নিস্তব্ধভাবে শুরু হওয়া উপন্যাসটি হঠাৎ করেই হয়ে ওঠে একটি থ্রিলার। এমন হঠাৎ করেই বিচিত্রসব ঘটনার ঘনঘটায় মনে হয় আমি যেন সমারেশ মজুমদারের কোন লেখা পড়ছি না বরং সস্তা কোন লেখকের লেখা কোন চলচিত্রের চিত্রনাট্য পড়ছি। অবশ্য এটা খুব সাময়িক সময়ের জন্যই মনে হয়েছিল কিন্তু শেষ দিকে দিয়ে আবারো উপলব্দি হলো গল্পের এমন ঘন ঘন বাঁক পরিবর্তন, এমন সাবলিলভাবে উপস্থাপন কোন সস্তা লেখকের পক্ষে সম্ভব ছিলো না। আর গল্পের শুরুটা যে একেবারে নিস্তব্ধভাবে হয়েছে সেটাও বলাটা মনে হয় ঠিক হলো না। শুরুতেই অযাচিতভাবে একটা গুন্ডা প্রকৃতির মানুষের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনাটি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় জয়দীপের চরিত্রে আসলেই ভিতরে ভিতরে একটা প্রতিবাদী সত্তা ছিলো। 

সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩

বিল গেটস'র বই পড়া


ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন তাকে চেনেন না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কঠিন। গুগল তাকে American Business Magnate বলে পরিচয় করিয়ে দেয়। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৯ বছর পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছিলেন (২০১০-২০১৩ ছাড়া)। তিনি মাইক্রোসফটেরও প্রতিষ্ঠাতা। চাইলে তিনি আজও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকায় প্রথম থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি এত বেশি পরিমাণ দান করেন যা একজন মানুষ কল্পনাও করতে পারবেন না। ২০২২ সালেও তিনি আমেরিকার স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ৫ মিলিয়ন ডলার (!!!) দান করেছেন।