সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০

বিকেলের মৃত্যু-শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যয়


এটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যয়ের একটি থ্রিলার। 

লীনা চাকরি করে একটি বিখ্যাত কোম্পানীর ইলেকট্রনিক্স বিজ্ঞানী ববি রায়ের এ্যাসিসটেন্ট হিসেবে। লোকটাকে তার বিশেষ একটা পছন্দ নয়। একদিন ববি রায় তাকে তার রুমে ডাকে এবং কিছু অদ্ভুত আচরণ শুরু করে। লীনা প্রচন্ড বিরক্ত, বিস্মিত এবং অবাক হয়। 

কাহিনীর প্রায় শুরুতেই পাঠকের মধ্যে একটা প্রচন্ড রকমের আকর্ষণ তৈরি করতে সমর্থ হয়ছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যয়। ক্রমেই পাঠক একটা জটিল আবর্তে প্রবেশ করবে। ববি রায়কে খুন করতে চায় একদল লোক। কারা তারা? এখানে লিনার ভূমিকাই বা কী?

আবির্ভাব ঘটে একজন গোয়েন্দা, যাকে আসলে গোয়েন্দা চরিত্রের চেয়ে কমেডিয়ানই বেশি মনে হয়। তুখোড় বিজ্ঞানী এবং প্রায় হলিউড ছবির নায়কের মত মারখুটে চরিত্র ববি রায়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে চলতে গিয়ে লিনা ক্রমেই একটা ধোয়াশার মধ্যে ডুবে যেতে থাকে। কোম্পানী হঠাৎই তাঁকে দামী গাড়ি উপহার দেয়। কাহিনী ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকে। 

ববি রায়কে হত্যা করার জন্য যারা তাকে খুজে বেড়াচ্ছে তাদের পরিচয় বেরিয়ে আসে। তারা আসলে আন্তর্জাতিক মাফিয়া। আরো কিছু রহস্যের উন্মোচন হয়। জানা যায় ববি রায় আসলে ভারতে বিশাল এক গোপন গবেষণার সাথে যুক্ত। এই গবেষণার উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্যালাইটে নজরদারী করা। 

শেষ পর্যন্ত একটি লড়াইয়ে দেখা যায় সবাই নিরাপদে। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন