ডুমুরিয়া এনজিসি এ্যান্ড
এনসিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী
জনাব মোঃ মোজাফফার
আলী মোড়ল এর অবসরজনিত বিদায় উপলক্ষে
দু’টি কথা
ডুমুরিয়া এনজিসি এ্যান্ড
এনসিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী
জনাব মোঃ মোজাফফার
আলী মোড়ল এর অবসরজনিত বিদায় উপলক্ষে
দু’টি কথা
ডুমুরিয়া এনজিসি এ্যান্ড
এনসিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী
বাবু রঞ্জন কুমার জোদ্দার এর অবসরজনিত বিদায় উপলক্ষে
দু’টি কথা
বাগ্মী হিসেবে দুনিয়াজোড়া নাম কিনেছিলেন শেরিডান। আঠারো শতকের প্রথম ভাগে যে-বাড়িটিতে তিনি পরলোকগমন করেন, আঠারো শতকের শেষভাগে সেই বাড়িটিতেই বসবাস করতেন রিফর্ম ক্লাবের
সদস্য ফিলিয়াস ফগ। ফগের টাকাকড়ির কোন অভাব নেই। কিন্তু কিভাবে সে-টাকা তাঁর কাছে
আসে সে এক বিরাট রহস্য। সবাই তাঁকে রিফর্ম ক্লাবের সদস্য হিসেবেই জানে, কাজকর্ম কিছু কখনও কেউ তাকে করতে দেখেনি। খুব কম কথা বলেন
ফগ। কম খরচ করেন। তার সংযম সম্পর্কে লোকের
মুখে শুধু প্রশংসাই শোনা যায়। তিনি যে কৃপণ তাও নয়, কেননা প্রচুর পরিমাণে দান করতে দেখা যায় তাঁকে। বিলাসিতা
একেবারেই পছন্দ করেন না। কিন্তু ফিলিয়াস ফগ সম্পর্কে সবচেয়ে বড় কথা যেটা তা হলো,
ঘড়ির কাটা ধরে দৈনন্দিন কাজকর্ম চলে তার, সময়ের এক সেকেন্ড এদিক ওদিক হবার যো নেই।
মহিষাসুরমর্দিনী
রচনা
– বাণীকুমার
গ্রন্থণা
ও শ্লোকপাঠ – বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র
সঙ্গীত
পরিচালনা – পঙ্কজ কুমার মল্লিক
সাদামাটা
স্কুল শিক্ষক দীনেশের একমাত্র ছেলে জহর। একটা জল বিশুদ্ধকরণ মেশিন তৈরির কোম্পানীর
এক্সপার্ট টেকনিশিয়ান। কোন বাসায় তাদের কোম্পানীর মেশিনে বিশেষ কোন সমস্যা দেখা
দিলে জহরকে সেখানে পাঠানো হয়। সামান্য উপার্জনে দুই সন্তান আর বাবাকে নিয়ে কোনরকমে
চলে যায় তাদের। দিনশেষে অফিস থেকে ফিরে জহর সাধারণত টিভিতে সিরিয়াল দেখতে বসে যায়।
স্ত্রী শান্তা দুই ছেলে-মেয়েকে সামলে সংসারের রান্না-বান্না ও অন্যান্য কাজ নিয়েই
পড়ে থাকে।
আমি
একবার চাকরীর ইন্টারভিউতে চতুর প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলাম। এরপর থেকে আমি এটা ভুলতে পারিনি।
প্রশ্নটা
এমন ছিল, মনে করুন- এক ঝড়ের দিনে আপনি আপনার গাড়ী ড্রাইভিং করছেন আপনি একটি বাস
স্টপ অতিক্রম করার সময় দেখলেন সেখানে ৩ জন লোক দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমজন একজন সুন্দরী নারী যাকে আপনি
মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন এবং সারা জীবনের জন্য কাছে পেতে চান। দ্বিতীয়জন আপনার খুব পুরোনো এক বন্ধু যে একবার আপনার জীবন বাঁচিয়েছিল
এবং তৃতীয়জন এক বৃদ্ধা মহিলা যাকে খুব অসুস্থ্য দেখাচ্ছিল। আপনার গাড়িতে মাত্র একজনকেই বসতে দেওয়া সম্ভব।
এক গ্রামে এক দরিদ্র কৃষক এবং তার মেয়ে বাস করতেন। ঐ গ্রামে এক খারাপ লোক বাস করতেন। খারাপ লোকটি চড়া সুদে টাকা ধার দিতেন এবং টাকা ফেরত না দিতে পারলে তার সর্বস্ব কেড়ে নিতেন। দরিদ্র কৃষক একবার ঐ লোকটির কাছ থকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন এবং ফেরত দিতে পারলেন না। এমতবস্থায় খারাপ লোকটি এক চতুর উপায় অবলম্বন করে টাকার বিনিময়ে কৃষকের মেয়েটিকে কব্জা করতে চাইলেন। খারাপ লোকটি নিজেকে উদার প্রমাণ করতে গ্রামের সবাইকে নিয়ে নদীর তীরে গিয়ে বললেন যে তার হাতে থাকা থলিটার মধ্যে তিনি সাদা এবং কালো রঙের দুটি পাথর রাখবেন। মেয়েটির ভাগ্য পরীক্ষার নিমিত্তে থলি থেকে একটি পাথর উঠাবেন। মেয়েটি যদি সাদা পাথার উঠায় তাহলে তিনি মেয়েটিকে ছেড়ে দেবেন এবং টাকাও মওকূপ করে দিবেন। কিন্তু মেয়েটি যদি কালো পাথর উঠায় তাহলে টাকার বিনিময় হিসাবে তাকে বিয়ে করতে হবে এবং এটাকে ভাগ্য বলেই মেয়েটিকে মেনে নিতে হবে। পরীক্ষা শুরু হলে খারাপ লোকটি কৌশলে থলিটির ভিতর দুটোই কালো রঙের পাথর রেখে দিলেন। কিন্তু মেয়েটি যথেষ্ট চালাক ছিল এবং সে এটা বুঝে গেল। এবার বলুন আপনি যদি মেয়েটির জায়গায় থাকতেন তাহলে কি করতেন?
টেনিদা-বাংলা সাহিত্যে হাস্যরসাত্বক চরিত্রগুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে অন্যতম। খাঁড়ার
মত নাকওয়ালা টেনিদা আর তার চার বন্ধু (বন্ধু না বলে অবশ্য চ্যালা বললেই মানায় ভাল)
পটলডাঙ্গার প্যালারাম, ঢাকাইয়া হাবুল সেন এবং পড়াশুনায় দারুণ ভালো ক্যাবলাকে নিয়েই
টেনিদার প্রায় প্রতিটি গল্প।
এটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যয়ের একটি থ্রিলার।
লীনা চাকরি করে একটি বিখ্যাত কোম্পানীর ইলেকট্রনিক্স বিজ্ঞানী ববি রায়ের এ্যাসিসটেন্ট হিসেবে। লোকটাকে তার বিশেষ একটা পছন্দ নয়। একদিন ববি রায় তাকে তার রুমে ডাকে এবং কিছু অদ্ভুত আচরণ শুরু করে। লীনা প্রচন্ড বিরক্ত, বিস্মিত এবং অবাক হয়।
কাহিনীর বৈচিত্রতা এবং চমৎকার উপস্থাপন দক্ষতার কারণে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যয় আমার প্রিয় লেখকদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। বিশেষ করে তার লেখা শিশুতোষ উপন্যাসগুলি (অদ্ভুতুড়ে সিরিজ) আমার খুব প্রিয়। এই কাহিনীগুলো আমার কাছে নির্মল বিনোদন। গুহা মানব উপন্যাসটি পড়ার পর শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যয়ের প্রতি ভালোলাগা আরো গভীর হয়েছে। যদিও এটি একটি ছোট উপন্যাস এবং অনেকের কাছেই গল্পটা খুব সাধারণ মনে হতে পারে কিন্তু আমার কাছে উপন্যাসটি একটি লেখকের একটা বিশেষ দক্ষতার পরিচয় বলেই মনে হয়েছে।
“গোরা” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত উপন্যাস। শুধু বিখ্যাত না বলে বলা যায় এটাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। এমন ভাব গাম্ভীর্যপূর্ণ উপন্যাসের সাথে তুলনা করার মত আর কোন উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে বিরল। উপন্যাসটি প্রবাসী পত্রিকায় ১৯০৭ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এবং ১৯১০ সালে পুস্তকাকারে প্রাকাশিত হয়। উপন্যাসটির বিষবস্তু ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে সংঘটিত ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলন, সামাজিক অধিকার, দেশপ্রেম ও নারীমুক্তি।
২০১৬ সালে পূজা চৌহান নামে এক সুন্দরী
তরুণী অনলাইন ফোরামে ধনী স্বামী চেয়ে একটি পোস্ট লিখেছিলেন। পোস্টটি
পড়ে উত্তর দিয়েছিলেন স্বয়ং ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। মুকেশ
আম্বানির সেই উত্তর সেই সময়ে ইন্টারনেট জগতে ভাইরাল হয়ে যায়। কি ছিল পূজার সেই পোস্টে?
চলুন দেখে আসা যাক।
প্রিয় শিক্ষার্থী কেমন আছ তোমরা? নিশ্চয়ই ঘরে থেকে থেকে ক্লান্ত
হয়ে পড়ছ দিন দিন। সত্যিই তো সারাদিন তো আর টিভি দেখে, ভিডিও গেমস খেলে কাটানো যায় না,
তাই না? জানো তো, আমরাও ভালো নেই। অনেকদিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ তোমাদের পদচারণায় মুখরিত
হয় না, তোমাদের না দেখতে পেলা আমরা কিভাবে ভালো থাকি বলো। করোনা’র এই মহামারিতে আমরা
কেউই ভালো নেই। তবুও তো জীবন থেমে থাকবে না, চলতে আমাদের হবেই।
সম্প্রতি নীললোহিতের প্রেমে পড়েছি। হিমু পড়ে যেমন অনুভূতি হয়েছিল,
প্রত্যেক মানুষের ভিতরে একজন হিমু ঘুমিয়ে আছে, নীললোহিত পড়েও তেমনি মনে হচ্ছে। মনে
হচ্ছে প্রতিদিনের এই যান্ত্রিক নিয়মের বাঁধ ভেঙ্গে হয়ে যাই নীললোহিত। কিন্তু বাস্তবে
আমাদের পক্ষে হিমুও হওয়া সম্ভব নয়, নীললোহিতও হওয়া সম্ভব নয়। তবে একটা কাজ অবশ্যই হতে
পারে, বইয়ের ভিতর ডুব দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য হিমু বা নীলের সাথে মিশে যাওয়া। সেটাই করছি।
গতকাল শেষ করলাম “চলো দিকশূন্যপুর”।
শুন বরনারী-সুবোধ ঘোষ |
ফেলুদা ও তপসে |