রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

পুতুলনাচের ইতিকথা-মানিক বন্দ্যোপাধ্যয়


ইতি হল পুতুলনাচের ইতি কথা'র। মানিক বন্দ্যোপাধ্যয় যেভাবে নাচালেন শশী, কুসুম, কুমুদ, মতি, যদব, গোপাল, সেনদিদিরা সেভাবেই নাচলেন। যদি প্রশ্ন করা হয় 'পুতুল নাচিয়ে' হিসেবে কেমন মানিক বন্দ্যোপাধ্যয়? উত্তর এক কথায় 'অসাধারণ'। সত্যি এত চমৎকারভাবে সবাইকে মানিকবাবু নাচিয়েছেন যে, যতক্ষণ পুতুল নাচেরসাথে ছিলাম ততক্ষণ মনপ্রাণ সব ডুবে ছিল পুতুলনাচের ইতিকথায়। পুতুলগুলোর দুঃখ-কষ্ট, আবেগ-অনুভূতিগুলো সব নিজের মধ্যে টের পাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল গাওদিয়া গ্রামের প্রতিটি ইঞ্চি মাটি, বৃক্ষ, লতা-পাতা, নদী সবই যেন চলচিত্রের মত চোখের সামনে ভাসছে।

তবে একটি কথা কষ্টের সাথে বলতে হচ্ছে, পুতুলনাচ ভালো লাগলেও পুতুলনাচের কোন পুতুলকে আমার ভালো লাগেনি। পড়া শেষে মনে হয়েছে সব পুতুল নাচিয়ে'র ইচ্ছা মত নাচে কি? কিছু পুতুল কি বিদ্রোহী হয় না, নিজের মত চলতে চায় না? কুমুদ কি সেই রকম বিদ্রোহী পুতুল? হয়তো না, হয়তো মানিক বন্দ্যোপাধ্যয় কুমুদকে ওভাবেই নাচিয়েছেন। সেজন্যই কি কুমুদকেও ভালো লাগল না আমার? এমনই কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে নিজের মধ্যে। তবে আমার দূর্বল চিন্তাশক্তি হয়তো সব জটিলতার অবসান ঘটাতে পারবে না, তাই এই চিন্তারও ইতি টানতে চাই এখানে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন