বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২০

বর্ণপরিচয়-ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর


আশির দশক কিংবা তার আগে যাদের জন্ম তাদেরকে সম্ভাবত বর্ণ পরিচয় সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই।
তবে বর্তমান সময়ের ছেলেমেয়েরা সম্ভাবত এই বইটির নামও শোনেনি। “বর্ণপরিচয়” ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত একটি বাংলা বর্ণশিক্ষার বই। বইটি দুটি খন্ডে (প্রথম ভাগ, দ্বিতীয় ভাগ) বিভক্ত। প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৫৫ সালের এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখ। তখনকার সময়ে দুই পয়সা মূল্যের এই ছোট্ট বইটি বাংলাভাষাবাসীদের শিক্ষা ক্ষেত্রে এক মহাবিপ্লব সৃষ্টি করেছিল। বর্ণপরিচয় এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি শিশুদের উপযোগী সহজবোধ্য ও সংক্ষিপ্ত বাক্যের সমন্বয়ে রচনা করা হয়েছে। শিশু বর্ণক্রমিক পদ্ধতিতে বর্ণ শিখবে, বর্ণের সঙ্গে মুখে মুখে ছোট ছোট শব্দ শিখবে, এরপর বর্ণপরিচয়-এর পরীক্ষা, তারপর বর্ণযোজনা ও ফলা সংযোগে বানান শেখার সূচনা। এরপর রয়েছে সহজবোধ্য ছোট বাক্যের ছোট ছোট প্রাঞ্জল গদ্য রচনা। 

ডিসেপশন পয়েন্ট-ড্যান ব্রাউন


“দ্যা ভিঞ্চি কোড” ড্যান ব্রাউনের সবচেয়ে আলোচিত একটি বইয়ের নাম এবং অবশ্যই আমার পড়া একটি সেরা থ্রিলার “দ্যা ভিঞ্চি কোড” পড়ার পর ড্যান ব্রাউনের বেশ ভক্ত হয়ে যাই আমার পড়া ব্রাউনের লেখা দ্বিতীয় বইয়ের নাম “দ্যা লস্ট সিম্বল” আর মাত্র গতকালই শেষ করলাম ড্যান ব্রাউনের লেখা আরো একটি চমৎকার থ্রিলার “ডিসেপশন পয়েন্ট” বইটা পড়ার সময় সত্যিই মনে হয়েছে এটা একটি থ্রিলার থ্রিলার বলতে সাধারণত যা বোঝায় অর্থাৎ রহস্য, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, অনিশ্চয়তা, উত্তেজনা,নাটকীয়তা সবকিছুই চমৎকারভাবে উপস্থিত হয়েছে “ডিসেপশন পয়েন্ট” বইটিতে। 
বইটির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যার সাথে যুক্ত হয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA ফলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা একটা ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে কাহিনীর শুরুতে দেখা যায় সিনেটর সেজউইক স্যাক্সটন তার একমাত্র মেয়ে র‍্যাচেল স্যক্সটনের সাথে একটি রেস্টুরেন্ট দেখা করছেন 

অষ্টম শ্রেনির বাংলা বহুনির্বাচনী প্রশ্ন


১।     কোন গল্পটি পাঠে শিক্ষার্থীর মধ্যে কর্তব্য পরায়ণতা ও নৈতিকতার চেতনা সৃষ্টি হবে?
ক) অতিথির স্মৃতি              খ) পড়ে পাওয়া
গ) তৈলচিত্রের ভূত      ঘ) সুখী মানুষ
০২।    বাংলা সাহিত্যে কালজয়ী কথাশিল্পী বলা হয় কাকে?
ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর                  
খ) বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যয়
গ) শৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যয়                
ঘ) মানিক বন্দোপাধ্যয়

মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০

আপনাকে বলছি স্যার

“কোন হাসপাতাল যদি কেবল সুস্থ্য ব্যক্তিদের পরিচর্যা করে আর রোগাক্রান্তদের বাদ দেয় তাহলে তাকে কি বলা হবে?”
এমন প্রশ্নই করা হয়েছে গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনাকে বলছি স্যার” বইটিতে। প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা আসলে এই ব্যপারটিকে ঘটতে দেখি প্রতিনিয়ত। যেখানে এগিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেওয়া হয়, পুরস্কৃত করা হয় আর ব্যর্থদের, ফেল করাদের বাদ দিয়ে দেওয়া হয় স্কুল থেকে। কিন্তু এই ব্যবস্থা মেনে নিতে পারেননি একজন, তিনি ফাদার মিলানি (পুরো নাম ডন লোরেঞ্জো মিলানি)। মিলানি ১৯৫৪ সালে বারবিয়ানা চার্চে (ইতালি) যোগদান করেন। যোগদানের পর তিনি বারবিয়ানাতে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন যেটা ছিল প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বিদ্যালয় থেকে বাদ পড়া ছেলেমেয়েদের নিয়েই গড়ে উঠেছিল তার বিদ্যালয়টি। এই ব্যতিক্রমী বিদ্যালয়টির শিক্ষা পদ্ধতি ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে পুরোন ছাত্রেরা অনেক সময়ই নতুনদের পড়াত, আর শিক্ষার অঙ্গ হিসেবে পড়ুয়াদের সমাধান করতে হত তাদের প্রাত্যহিক জীবনের নানা সমস্যাএই ব্যতিক্রমী বিদ্যালয়টিই সে সময় সাড়া জাগিয়েছিল সমগ্র ইতালীজুড়ে।

সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২০

নাস্তিক পন্ডিতের ভিটা


যখন বৃক্ষরাজির ভিতর দিয়ে বহে যাবে সমুষ্ণ বাতাস
নদীর উপর ছায়া ফেলবে গোধূলিকালীন মেঘ
পুষ্পরেণু ভেসে আসবে বাতাসে
আর পালতোলা নৌকা ভেসে যাবে বিক্ষিপ্ত  স্রোতধারায়….
সহসা অবলুপ্ত দৃষ্টি ফিরে পেয়ে তুমি দেখবে—
আমার কেশপাশে বিজড়িত রয়েছে অস্থিনির্মিত মালাঃ
তখন--- কেবল তখনই আমি তোমার কাছে আসব…

একাদশ শতকে কুন্তলা নামে এক নারী এই কথাগুলো বলে হারিয়ে গেল মৃত্যুর অতল গহ্বরে। কিন্তু কার কাছে ফিরে আসার অঙ্গীকার করে গেলেন কুন্তলা? চন্দ্রগর্ভ বা পন্ডিত অতীশ দীপংক­র। তারপর কি হলো?
এই প্রশ্নই আমাকে ব্যক্তিগতভাবে এই বইটি সম্পূর্ণ করতে উৎসাহিত করেছে। 

মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০২০

বই পর্যালোচনা লিখবেন যেভাবে


(একটি উইকিহাউ অনুবাদ)  
কোন বই সম্পর্কে আলোচনা করা মানে বইয়ের সারাংশ বলা নয়, বইটি সম্পর্কে একটি সমালোচনামূলক আলোচনা করার এটা এক দারুন সুযোগ। আলোচক হিসেবে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগের সাথে যথাযথ বিশ্লেষণমূলক অধ্যয়নকে একীভূত করে ফেলা উচিত হবে। একটি ভালো আলোচনা পাতায় পাতায় কী আছে তার বর্ণনা দেয়; বইটি নিজ উদ্দেশ্য সাধনে কতটা সফল তার বিশ্লেষণ করে; শেষে একটি অনন্য পরিপ্রেক্ষিত থেকে প্রতিক্রিয়া ও মতামত ব্যক্ত করে।

প্রথম অংশঃ গ্রন্থ আলোচনার জন্য প্রস্তুতি
১. বই পড়ার সাথে সাথে নোট গ্রহণঃ যদি সম্ভব হয় তাহলে বইটি বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার পড়ুন। বারবার একটি বই পড়লে পাঠকের চোখে গল্পের শরীরটি দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। গল্পের সজ্জাপদ্ধতি ও চরিত্র বা চরিত্রগুলো নতুন অথবা ভিন্ন আঙ্গিকে ফুটে ওঠে।
বইটি পাঠরত অবস্থায় আপনার মনে যে প্রতিক্রিয়া হবে আর তার সাথে সাথে যে ভাবনাগুলো আসবে তা লিখে ফেলুন অথবা রেকর্ড করে ফেলুন। এলোমেলোভাবে বা ততোটা সঠিক ভাবে না হলেও হবে। আসলে বই পড়ার সাথে সাথে আপনার মনে যে চিন্তা আসবে তার মধ্যে ঝড় তুলে দেয়ার জন্য এই কাজ করা দরকার।

রবিবার, ১২ মে, ২০১৯

মূর্খের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়



রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলে। কোলকাতার কোন এক জনসভায় তিনি এ নিয়ে একটি বক্তব্যও দিয়েছিলেন। কিছু মানুষ এমন দাবী করে থাকেন। তাদের এই দাবীর প্রেক্ষিতে বাংলা ব্লগিং জগতে এটা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে উগ্র জাতীয়তাবোধ এবং মৌলবাদী কিছু মুসলমান কর্তৃক এই জাতীয় লেখা বেশি প্রচার করা হয়ে থাকে। সংগত কারণেই তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার বোঝা যায়। রবীন্দ্রনাথকে বিতর্কিত করার চেষ্টা ইতিহাসে নতুন নয়। কিন্তু যারা রবীন্দ্রনাথ পড়েছেন তারা খুব ভালো করেই তাকে বুঝেছেন। না, আমি দুই-একটা ছোটগল্প বা কবিতা পড়ার কথা বলছি না, রবীন্দ্রনাথকে বুঝতে হলে, জানতে হলে পড়তে হবে অনেক বেশি। 
যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধীতাকারী হিসাবে প্রমাণ করতে চান তাদের কেউই রবীন্দ্রসাহিত্য পড়েননি কিংবা পড়লেও পড়েছেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন এমন দাবীর কোন প্রমাণ নেই। ইন্টারনেটে কিছু ব্যক্তিগত ব্লগেই এই জাতীয় কিছু পোস্ট চোখে পড়ে (ঠিক এই লেখাটির মত), যা যে কেউ চাইলে যেকোন সময়ে লিখতে পারে। 

মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সৌভাগ্যের বিচি (একটি ছোটগল্প)


জাপান সাগরের তীরে ছোট একটি গ্রাম। গ্রামের নাম ফুকুজুকু। এই গ্রামে বাস করে নাকাচুকু নামে একটি ছেলে আর তার মা। ছেলেটি খুব সৎ কিন্তু বড্ড অলস, কিছুই করতে চায় না। ছোটবেলাতেই বাবা মারা যাওয়ার পর নাকাচুকু’র মা ছেলেকে অতি আদরে বুকে আগলে রেখেছেন। নিজে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে বড় করে তুলছেন নাকাচুকুকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় নাকাচুকু কোন কাজই করতে চায় না। মায়ের খুব দুঃখ হয় তার অবর্তমানে ছেলের কি হবে তাই ভেবে। এভাবে দিন যায়, একদিন নাকাচুকুর মা খুব অসুস্থ্য হয়ে পড়লেন। নিজের মৃত্যুর কথা চিন্তা করে মা নাকাচুকুকে কাছে ডাকলেন তারপর হাতে ছোট একটি শুকনো বিচি দিয়ে বললেন বাবা নাকাচুকু আমি মনে হয় আর বেশিদিন বাঁচব না। আমার মৃত্যুর পর তুমি এই বিচিটি গ্রামের শেষ প্রান্তে যে পাহাড় আছে তার শীর্ষে পুতে দেবে। এটি তোমার সৌভাগ্য বয়ে আনবে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ ইলাস্ট্রেটরে স্টবেরি তৈরি

বেশকিছুদিন ধরে ইন্টারনেট থেকে কিছুটা দূরে ছিলাম, কিছুটা বলছি এই জন্যে যে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া নেটে প্রবেশ করিনী।  বিশেষ করে গত ৭/৮ দিন আমার উপর দিয়ে একটা ঝড় বয়ে গেছে। পৃথিবীতে আমরা সবাই ক্ষনস্থায়ী, মৃত্যুই আমাদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু তারপরেও এই মৃত্যুকে আমরা কখনই সহজভাবে মেনে নিতে পারিনা। পৃথিবীর এই শাশ্বত নিয়ম মানতে গত শুক্রবার ১০/০৫/২০১৩ ইং তারিখ আমার বাবা আমাদের ছেড়ে স্বগের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন। আমার আজকের পোস্টটি তাকেই উৎসর্গ করে শুরু করছি। . . .
31
প্রথমেই ইলাস্ট্রেটর ওপেন করে একটি পেজ নিন, ellipse tool ব্যবহার করে একটি বৃত্ত তৈরি করুন। এবং Direct Selection Tool ব্যবহার করে বৃত্তটিকে ডিমের মত আকৃতি প্রদান করুন এবং  Gradient Tool ব্যবহার করে ডিম্বাকৃতির শেপটিকে স্টবেরির ন্যায় রঙ্গিন করে নিনি।

শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬

ইলাস্ট্রেটরে পাকা লেবু (মালটা) তৈরি

কেমন আছেন সবাই? অনেকদিন পর আজ লিখতে বসলাম। আসলে শত ব্যস্ততার মাঝেও ইলাস্ট্রেটর নিয়ে কিছুটা সময় পার করার মত একটা টপিক পেয়ে গেছিলাম। যদিও কাজটা মনের মত করতে পারিনী, আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল তারপরেও পোস্টটা লিখে ফেলছি এই কারণে যে সময়ের খুব অভাব। এখন না লিখলে হয়তো কিছুদিন পর আর এটা নিয়ে কাজ করাও হবে না, ভুলেই যাবো। যা হোক চলুন তাহলে শুরু করা যাক। প্রথমে আমরা ফাইনাল ইমেজটি একবার দেখে নেবো। 
24
শুরুতে আমরা নিচের চিত্রের ন্যায় একটা ত্রিভূজ অংকন করব। এটা আমি পেন টুল ব্যবহার করে করেছি, আপনারা চাইলে অন্য যেকোনভাবেও তৈরি করতে পারেন। এরপর এটাতে কালার দিন, আমি এখানে কমলা রঙ ব্যবহার করেছি।

গুগল ক্রোমের লগো ডিজাইন

জানি ইলাস্ট্রেটরে যাদের সত্যিকারের আগ্রহ আছে তারা অবশ্যই আমার এই পোস্টে একটা ক্লিক করেছেন, সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এই পোস্টটি যখন লিখছি তখন মনের ভিতরটা দুটো চাপা ভারী হয়ে আছে। একটা ব্যক্তিগত আর একটা সাভারের ঐ ভাই-বোন গুলোর জন্য। ব্যক্তিগতটা ব্যক্তিগতই থাকুক, আসুন সাভারের ঐ ভাই-বোন গুলোর জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে একবার প্রার্থনা করি যেন মৃতের আত্মারা শান্তি পায় আর যারা আহত তারা দ্রুত নিরাম লাভ করে।
তো চলুন এবার শুরু করা যাক। প্রথমে ইলাস্ট্রেটর ওপেন করুন, Ellipse দিয়ে  400×400 সাইজের একটি বৃত্ত আঁকুন যার Fill কালার সবুজ এবং Stroke কালার None থাকবে। এবার আরো একটি বৃত্ত আকুন 140×140 সাইজের এবং এটির Fill ও Stroke কালার যথাক্রমে সাদা এবং নীল। দ্বিতীয় বৃত্তটির Stroke ২০ করে দিন। নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করুন।
14-300x212

ইলাস্ট্রেটরে উইন্ডোজ সেভেনের থ্রি-ডি লোগো ডিজাইন

এ্যাডবি ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করে খুব সহজেই উইন্ডোজ সেভেনের লোগো তৈরি করা যায়। কাজটা একেবারেই সহজ এবং অত্যন্ত সুন্দর। নিজে নিজে উইন্ডোজ সেভেনের লোগো তৈরি করার পর লাগেও খুব ভাল । আমি এখানে এ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর এর CS 11 ভার্শন ব্যবহার করেছি। চেষ্টা করেছি পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ এবং সাথে চিত্র দিতে। আমার বিশ্বাস একটু চেষ্টা করলে যে কেউ এটা করতে পারবে। তো ঠিক আছে কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক। প্রথমেই Adobe Illustrator ওপেন করে A4 সাইজের একটি আর্টবোর্ড (পেজ) খুলুন। এবার Rectangle Tool এ ক্লিক করে একটি বর্গক্ষেত্র অঙ্কন করুন যার ফিল কালার যেকোন একটা এবং স্টোক কালার None করে দিন। সঠিকভাবে বর্গক্ষেত্র আঁকার জন্য কী-বোর্ডের Shift কী চেপে রেখে মাউস পয়েন্টার ডানে-নিচে টানুন। তাহলে নিচের চিত্রের ন্যায় বর্গক্ষেত্র অঙ্কিত হবে। . . .
1 এবার বর্গক্ষেত্রটিকে ডিসিলেক্ট করে আবারো Rectangular Tool এ ক্লিক করে আগের আঁকা বর্গক্ষেত্রটির পাশে একটি রেখার ন্যায় আয়াতক্ষেত্র অঙ্কন করুন । সিলেক্ট করা অবস্থায় নিচের চিত্রের ন্যায় দেখাবে এবং খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন আগের অঙ্কিত বর্গক্ষেত্রটির চেয়ে সামান লম্বা হয়, নিচের চিত্রের ন্যায়।

ইলাস্ট্রেটরে সেভেন আপের লোগো ডিজাইন

অনেকদিন হল সাইটের কোন খোজ-খবর রাখি না। কারণ সময়ের স্বল্পতা। পূজো এবং ঈদের ছুটি চলছে এখনি সময় কিছু লেখার। চলুন আজ আমরা সেভেন আপের লোগো তৈরির চেষ্টা করি। তো প্রথমে ইলাস্ট্রেটর ওপেন করুন এবং একটা ডকুমেন্ট নিন। আগের টিউটোরিয়ালগুলো নিয়ে একটা অভিযোগ উঠেছে যে, অনেক জায়গায় আমি সংক্ষেপে লিখেছি। এবারের টিউটোরিয়ালে তাই চেষ্টা করব প্রতিটি বিষয়ে বিস্তারিত লেখার। তো শুরু করা যাক, প্রথমে চলুন আমরা ফাইনাল ইমেজটি একবার দেখে নেই।
7up
প্রথম ধাপঃ টাইপ টুল ব্যবহার করে 7 (সেভেন) লিখুন। এখানে উল্লেখ্য আমি এখানে “Tw Cn MT” ফন্ট ব্যবহার করেছি। আপনারা চাইলে অন্য ফন্টও ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই সেটা সেভেন আপের সেভেন লেখা স্টাইলের সাথে যেন মিলে যায়। “Tw Cn MT” ফন্ট ব্যবহার করে সেভেন লিখলে সেটা নিচের চিত্রের ন্যায় দেখাবে।

ফেসবুক থেকে ভিডিও ডাউনলোড করুন সহজেই

ফেসবুক বর্তমান সময়ে এমন একটি সোসাল মিডিয়া নেটয়ার্ক এ পরিনত হয়েছে যে তার সম্পর্কে বাড়িয়ে বলার কিছু নেই। ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের পরিমান তুলনামূলক হারে অনেকটাই কমে গেছে শুধু ফেসবুকের ভিডিও শেয়ারিং এর সুবিধা যোগ হওয়ার ফলে। এর কারণ কিছুদিন পূর্বেও আমাদের দেশের স্লো গতির ইন্টারনেটের কারণে ইউটিউব কিছুটা কম ব্যবহারিত হতো এবং ইউটিউবের লিঙ্ক আলাদাভাবে শেয়ার করার একটা ব্যপার থেকে যায় কিন্তু ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করলে সহজেই তা বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।
যা হোক অনেকেই ফেসবুকের এইসব জনপ্রিয় ভিডিওগুলো ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে চান। কিন্তু ফেসবুক থেকে ভিডিও ডাউনলো করার সহজ উপায় অনেকেই জানেন না। আজকের টিউটোরিয়ালে আমি এমন একটি পথ দেখাব যা দিয়ে ফেসবুকের যেকোন ভিডিও সবচেয়ে সহজ উপায়ে ডাউনলোড করা যাবে। এটি করার জন্য প্রয়োজন একটি এড অনস। যারা মজিলা ফায়ারফক্স ব্যবহার করেন তারা "ডাউনলোড ফ্লাস এন্ড ভিডিও" নামে সার্চ দিলে সহজেই পেয়ে যাবেন। অথবা এই লিঙ্ক থেকে এড অনস টি আপনার ফায়ারফক্সে ডাউনলোড করে নিন।
111
এড অনসটি ডাউনলোড করার পর ফেসবুকের যেকোন একটি ভিডিও প্লে করুন। এবার আপনার ব্রাউজারের উপরের দিকে ডান পাশে একটী ডাউনলোড আইকন দেখতে পাবেন। এটির উপরে মাউস দিয়ে ক্লিক করুন আপনার ভিডিওটির ডাউনলোড অপশন দেখতে পাবেন। এবার ক্লিক করে ডাউনলোডের পর ভিডিও টি কোথায় থাকবে তা দেখিয়ে দিন। এবং ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।