তারিখঃ ০১/১০/২০২০ খ্রি.
বরাবর
নির্বাহী পরিচালক
জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন
৪৬ মুজিব সড়ক, যশোর-৭৪০০।
মহিষাসুরমর্দিনী
রচনা
– বাণীকুমার
গ্রন্থণা
ও শ্লোকপাঠ – বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র
সঙ্গীত
পরিচালনা – পঙ্কজ কুমার মল্লিক
সাদামাটা
স্কুল শিক্ষক দীনেশের একমাত্র ছেলে জহর। একটা জল বিশুদ্ধকরণ মেশিন তৈরির কোম্পানীর
এক্সপার্ট টেকনিশিয়ান। কোন বাসায় তাদের কোম্পানীর মেশিনে বিশেষ কোন সমস্যা দেখা
দিলে জহরকে সেখানে পাঠানো হয়। সামান্য উপার্জনে দুই সন্তান আর বাবাকে নিয়ে কোনরকমে
চলে যায় তাদের। দিনশেষে অফিস থেকে ফিরে জহর সাধারণত টিভিতে সিরিয়াল দেখতে বসে যায়।
স্ত্রী শান্তা দুই ছেলে-মেয়েকে সামলে সংসারের রান্না-বান্না ও অন্যান্য কাজ নিয়েই
পড়ে থাকে।
আমি
একবার চাকরীর ইন্টারভিউতে চতুর প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলাম। এরপর থেকে আমি এটা ভুলতে পারিনি।
প্রশ্নটা
এমন ছিল, মনে করুন- এক ঝড়ের দিনে আপনি আপনার গাড়ী ড্রাইভিং করছেন আপনি একটি বাস
স্টপ অতিক্রম করার সময় দেখলেন সেখানে ৩ জন লোক দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমজন একজন সুন্দরী নারী যাকে আপনি
মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন এবং সারা জীবনের জন্য কাছে পেতে চান। দ্বিতীয়জন আপনার খুব পুরোনো এক বন্ধু যে একবার আপনার জীবন বাঁচিয়েছিল
এবং তৃতীয়জন এক বৃদ্ধা মহিলা যাকে খুব অসুস্থ্য দেখাচ্ছিল। আপনার গাড়িতে মাত্র একজনকেই বসতে দেওয়া সম্ভব।
এক গ্রামে এক দরিদ্র কৃষক এবং তার মেয়ে বাস করতেন। ঐ গ্রামে এক খারাপ লোক বাস করতেন। খারাপ লোকটি চড়া সুদে টাকা ধার দিতেন এবং টাকা ফেরত না দিতে পারলে তার সর্বস্ব কেড়ে নিতেন। দরিদ্র কৃষক একবার ঐ লোকটির কাছ থকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন এবং ফেরত দিতে পারলেন না। এমতবস্থায় খারাপ লোকটি এক চতুর উপায় অবলম্বন করে টাকার বিনিময়ে কৃষকের মেয়েটিকে কব্জা করতে চাইলেন। খারাপ লোকটি নিজেকে উদার প্রমাণ করতে গ্রামের সবাইকে নিয়ে নদীর তীরে গিয়ে বললেন যে তার হাতে থাকা থলিটার মধ্যে তিনি সাদা এবং কালো রঙের দুটি পাথর রাখবেন। মেয়েটির ভাগ্য পরীক্ষার নিমিত্তে থলি থেকে একটি পাথর উঠাবেন। মেয়েটি যদি সাদা পাথার উঠায় তাহলে তিনি মেয়েটিকে ছেড়ে দেবেন এবং টাকাও মওকূপ করে দিবেন। কিন্তু মেয়েটি যদি কালো পাথর উঠায় তাহলে টাকার বিনিময় হিসাবে তাকে বিয়ে করতে হবে এবং এটাকে ভাগ্য বলেই মেয়েটিকে মেনে নিতে হবে। পরীক্ষা শুরু হলে খারাপ লোকটি কৌশলে থলিটির ভিতর দুটোই কালো রঙের পাথর রেখে দিলেন। কিন্তু মেয়েটি যথেষ্ট চালাক ছিল এবং সে এটা বুঝে গেল। এবার বলুন আপনি যদি মেয়েটির জায়গায় থাকতেন তাহলে কি করতেন?
টেনিদা-বাংলা সাহিত্যে হাস্যরসাত্বক চরিত্রগুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে অন্যতম। খাঁড়ার
মত নাকওয়ালা টেনিদা আর তার চার বন্ধু (বন্ধু না বলে অবশ্য চ্যালা বললেই মানায় ভাল)
পটলডাঙ্গার প্যালারাম, ঢাকাইয়া হাবুল সেন এবং পড়াশুনায় দারুণ ভালো ক্যাবলাকে নিয়েই
টেনিদার প্রায় প্রতিটি গল্প।